, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


চকরিয়ায় ভারী বর্ষণে কৃষকরা আতংকে: পাহাড়ি বন্যার সম্ভাবনা 

  • আপলোড সময় : ০৬-০৮-২০২৩ ০৬:১২:০০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৮-২০২৩ ০৬:১২:০০ অপরাহ্ন
চকরিয়ায় ভারী বর্ষণে কৃষকরা আতংকে: পাহাড়ি বন্যার সম্ভাবনা 
মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, চকরিয়া  থেকে: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভারী বর্ষণের ফলে কৃষকরা আতংকে রয়েছে।নিম্ন অঞ্চলে পাহাড়ি বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।  চকরিয়ায় কৃষকরা যখন আমনধান  রোপণে  ব্যস্ত তখন বিরতিহীন ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ি বন্যা দেখা দিলে সেই আমন ধান গুলো তলিয়ে যেতে পারে। এছাড়া আরো অনেক কৃষক আমনধান রোপণের জন্য বীজতলায় বীজ বপন করছে।সেখান থেকে আমনধানের চারা উৎপাদিত হয়েছে।এখন যদি সে বীজ তলা পাহাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে যায় তাহলে আমনধানের চারাগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কৃষকদের আর চাষ করার সুযোগ থাকবে না।

মূলত চকরিয়া উপজেলায় বছরে ২ টি ধান চাষ হয়।একটি হচ্ছে বোরোধান চাষ ও আরেকটি হচ্ছে আমনধানের চাষ।এই দুইটি চাষের উপর নির্ভর করে চকরিয়া উপজেলার প্রায় ৬৪ হাজার কৃষক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে।

চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের কৃষক আবদুল কাদের মনু বলেন, আমরা বছরে দুই বার ধান চাষ করি। কিন্তু  আমরা এই মৌসুমে মিঠা পানির অভাবে বোরোধানের চাষ করতে পারি নি ফলে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। কারণ আমরা  কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি।এমতাবস্থায় ভারী বর্ষণের পাহাড়ি বন্যা আসে তাহলে আমন ধানের চাষের আর সুযোগ থাকবে না।

তিনি আরো বলেন,  আমরা আমন ধান  চাষের জন্য জমির মালিক থেকে প্রতিকানি জমি(৪০ শতক) ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা করে নিছি।এখন যদি আমরা আমন ধানের চাষ করতে না পারি তাহলে আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাবে।

চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের আরেক কৃষক বদিউল আলম বলেন,আমন ধানের চাষ দিয়ে মানুষ  জীবিকা নির্বাহ করা ছাড়াও গরু,মহিষ, ছাগলও জীবিকা করে।কারণ,ধান চাষের ফলে যে খড় গুলো পাই সে খড় গুলো গরু মহিষ ও ছাগলকে খাওয়ানো হয়।ফলে এ খড় খেয়ে তাদের ও জীবিকা নির্বাহ হয়।এমতাবস্থায় আমন ধানের চাষ না হলে আমাদের কি অবস্থা হবে বুজতেছি না!

চকরিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, চকরিয়া উপজেলায় প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়।আমরা পাহাড়ি বন্যা থেকে আমন ধানের চাষের জমিগুলো রক্ষার জন্য সুইস গেইট গুলোর দরজা গুলো খুলা রাখছি।যাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হয়।

তিনি আরো বলেন,  বৃষ্টি যদি কমে যায় তাহলে পাহাড়ি বন্যা থেকে রক্ষা পাবো মনে করি ইনশাআল্লাহ।কারণ, চকরিয়া উপজেলায় ৬৪ হাজার কৃষক কৃষি কাজে নিয়োজিত। আমরা তাদের স্বপ্ন গুলো রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন,চকরিয়া উপজেলার বেড়িবাঁধের সুইস গেইটের দরজাগুলো খুলা রাখছি।যাতে ভারী বর্ষণের পানি দ্রুত সময়ে বের হতে পারে।ফলে পাহাড়ি বন্যার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবো।এছাড়া যারা সুইস গেইটের দরজা বন্ধ রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে  আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮০০ বছর পর তুরস্কের প্রাচীন কেস্ট্রোস ফোয়ারা চালু

১৮০০ বছর পর তুরস্কের প্রাচীন কেস্ট্রোস ফোয়ারা চালু